গাজীপুরে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামী খুন। পোশাক শ্রমিক স্বামী জিয়াউর রহমান হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন – নিহতের স্ত্রী নূরুন্নাহার (২৮), তার কথিত প্রেমিক ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইলের সুফিগিলা গ্রামের আঃ সাত্তারের ছেলে মোঃ শামীম (২৫) ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভাবনাতলা গ্রামের মোঃ হারেছের ছেলে মোঃ শাহীন (২৭)। বুধবার তাদের গাজীপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়।
জয়দেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, জিয়াউরের বাড়ি শেরপুরের ঝিনাইগাতির বাককুড়া এলাকায়। তিনি গাজীপুর নগরীর নাওজোর এলাকার শেনন সোয়েটার লিমিটেড কারখানায় ফিনিশিং ইনচার্জ পদে চাকরি করতেন। স্ত্রী ও ছয় বছরের ছেলে নিলয়কে নিয়ে ছয়দানা মালেকের বাড়ি এলাকায় অহর আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। স্ত্রী নূরুন্নাহারও মালেকের বাড়ি এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। গত ২২ জুন সন্ধ্যায় জিয়াউর রহমান কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হন। পরদিন ২৩ জুন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর সালনা ফরেস্ট চেকপোস্ট এলাকার জাকির হোসেন হাওলাদারের বাড়ির পাশের নালা থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পরদিন নিহতের ছোট ভাই শাহিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
তিনি গ্রেফতারদের বরাত দিয়ে আরো জানান, জিয়াউর রহমানের ভাড়া বাসার পাশেই একটি আসবাবপত্রের দোকানের কর্মচারী শামীম। কাছাকাছি থাকায় শামীমের সঙ্গে নূরুন্নাহারের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি স্বামী জিয়াউর রহমান জানতে পেয়ে স্ত্রীকে শাসন করেন। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয় শামীম। এ নিয়ে শামীমের সঙ্গে জিয়াউর রহামনের দ্বন্দ্ব হলে বাড়িওয়ালা বিষয়টি সমাধান করে দেন। কিন্তু শামীম নূরুন্নাহারকে সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমানকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরে শামীম আরও দুই সহযোগী শাহীন ও অপর একজনকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জিয়াউর রহমানকে ইজিবাইকে করে সালনা এলাকায় নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এস আই) আল আমিন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদের স্বীকারোক্তি নিয়ে সালনা ফ্লাইওভারের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অপর আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।