Breaking

Wednesday, July 12, 2017

ক্রিকেটের পাশাপাশি তিনি একজন বড় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার,জানুন তার সম্পর্কে অজানা কিছু কথা।


দিনকে দিন হয়ে জাচ্ছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের একটি বড় ভরসার নাম। সে আর কেউই নন। সিকান্দার রাজা । জন্ম সুত্রে পাকিস্তানী নাগরিক হলেও পরবর্তীতে তিনি জিম্বাবুয়ের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।

পাকিস্তানের শিয়ালকোটে জন্ম সিকান্দার রাজার। ক্রিকেটারের বাহিরেও তার বড় একটা পরিচয় আছে, তিনি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। ২০০১ সালে পরিবারের সাথে জিম্বাবুয়ে পাড়ি জমান রাজা। ২০০৭ সালেই জিম্বাবুয়ের ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে অভিষেক হয় ২০১৩ সালে। একই বছরে তিন ফরম্যাটেই অভিষেক হয় তার। সেই থেকে শুরু, তিন ফরম্যাটেই নিজেকে প্রমাণ

করেছেন ব্যাট বলে। নিয়মিত খেলছেন অলরাউন্ডার হিসেবে।

কিছুদিন আগে আফগানিস্তানের সাথে ওয়ানডে ও টি২০ সিরিজে বিধ্বস্ত হওয়ার পর স্কটল্যান্ডের সাথেও ওয়ানডেতে হারার পর শ্রীলংকা সিরিজে জয়তো দূরের কথা ভালো খেলাটাই ছিল জিম্বাবুয়ের জন্য চ্যালেঞ্জ। সেই জিম্বাবুয়েই প্রথম ম্যাচে লংকানদের গড়া ৩১৭ রানের পাহাড় ডিঙ্গিয়ে ৬ উইকেটে জয় পেলেন। সে ম্যাচেও রাজার অবদান অপরাজিত ৬৭ রান।

পরের দুই ম্যাচে হারলেও ৪র্থ ম্যাচে আবারো জয় পায় জিম্বাবুয়ে। গতকাল সিরিজের ৫ম ও শেষ ম্যাচে বল হাতে ১০ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করে লংকানদের ২০৩ রানে আটকে রাখতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলের ভালো শুরুর পরও এক পর্যায়ে ১৭৫ রানে ৭ উইকেটের পতন হলে পরাজয় চোখ রাঙ্গায় জিম্বাবুয়েকে।

সেখান থেকে অপরাজিত ২৭ রান করে এবং ছয় মেরে দলকে জয় উপহার দেন রাজা। জিম্বাবুয়ে পায় শ্রীলংকার সাথে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ। ৯ বছর পর বিদেশের মাটিতে সিরিজ জয়ের স্বাদ। আহ, রাজার জন্য আজকের রাতটা কাটকে তৃপ্তি নিয়ে, দলকে জয়ী করার গৌরব নিয়ে। লংকানদের মাটিতে তাদেরকে সিরিজ হারানোয় নিঃসন্দেহে জিম্বাবুয়েতে উৎসব চলছে এখন, যেখানে রাজা আছেন সকলের মধ্যমনি হয়ে।