Breaking

Wednesday, July 12, 2017

তৃষ্ণায় মাঝ পথেই মারা যাচ্ছে সৌদি থেকে বের করে দেয়া কাতারের উট


ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে সৌদি আরব থেকে কাতারের চাষিদের বের করে দেয়া হয়েছে। তাই মরুভূমি পাড়ি দিয়ে কাতরের পথে নিজেদের উট নিয়ে ফেরত আসছে চাষিরা। কিন্তু আসার সময় চাষিদের শত শত উট অনাহারে ও তৃষ্ণায় মারা যাচ্ছে।

দুই দেশের সীমান্ত দিয়ে দিনে মাত্র কয়েক শ’ উট পারাপারের অনুমতি ছিল। মূলত এর ফলে সৃষ্ট হওয়া অবস্থার মধ্যেই পশুগুলোর মৃত্যু হয়েছে।

সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারা উটগুলো জরো করে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল, তখন তাপমাত্রা ছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকজন উটের মালিক বলেছেন, উটগুলো এমনভাবে গাদাগাদি করে রাখা হয়েছিল যে, এগুলো শনাক্ত করতেই দিন অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া রাস্তায় অনেক উটের মৃত্যু হয়েছে, এতে তাৎক্ষণিকভাবে অনেক কৃষক পথে বসে পড়েছে। আবু সামারা, একজন উটের মালিক। তিনি বলেন, ‘সময়টা খুবই কঠিন ছিল, উটগুলোও বেশ কান্ত হয়ে পড়েছিল কারণ এগুলো কোথায় যাবে তা জানা ছিল না। ’ আবু সামারা থেকে আসা উটের মালিক হুসাইন আল-মাররি বলেন, ‘আমি সৌদি আরব থেকে ফিরে এসেছি। আমি নিজ চোখে দেখেছি, ১০০’র বেশি উট রাস্তায় মরে পড়ে আছে। এ ছাড়া শত শত উট ও ভেড়া হারিয়ে খুঁজছেন লোকজন। ’
কাতারের পক্ষ থেকে দেশটির পরিবেশ মন্ত্রী সীমান্তে সুরক্ষা ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়ে বলেছে, আট হাজার উটের জন্য খাদ্য ও পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

দ্য পেনিন্সুলু পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা কাতারে আরো আশ্রয় শিবির খোলার জন্য পশু চিকিৎসক ও পশু বিশেষজ্ঞদের সংগঠিত করেছে।

খবরে বলা হয়েছে, কূটনৈতিক সঙ্কটের ফলে উপসাগরীয় দেশটির ১২ হাজার থেকে ২৫ হাজার প্রাণী সঙ্কটের শিকার হয়েছে। কাতারের কৃষকেরা প্রতিবেশী দেশের চার হাজার ৪০০ বর্গ মাইল এলাকাজুড়ে পশু চারণ করে। ইরানের সাথে সুসম্পর্ক এবং সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার অভিযোগে জুন মাসের প্রথম দিকে সৌদি আরব, বাহরাইন, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত দোহার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ছাগল, ভেড়া, উটসহ কাতারে ১০ লাখ পশু রয়েছে এখন। আন্তর্জাতিক প্রাণী দাতব্য প্রতিষ্ঠান স্পানার একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘সব সময়ই পৃথিবীজুড়ে সঙ্ঘাত ও রাজনৈতিক বিরোধে গবাদিপশু আক্রমণের শিকার হয়। ’ তিনি বলেন, সোমলিয়া, মালিসহ বিভিন্ন জায়গায় সঙ্ঘাত চলাকালে আমরা এ ধরনের অবস্থা প্রত্যক্ষ করেছি আগেও।